কোরিয়ার রুপকথা-সম্পাদনা আমীরুল ইসলাম
প্রথিবীর সকল দেশের রুপকথাই শেষ অবধি একই সূত্রে গাঁথা।রুপকথার গল্পের কাহিনীর তেমন রকমফের হয় না।শুধু বদলে যায় মানুষগুলো।বদলে যায় গল্পের ভৌগলিক অবস্থান।সকল জনগোষ্ঠির কাছেই তাই তাদের নিজস্ব রুপকথা অতি প্রিয়। হাজার হাজার বছর ধরে তাদের মূখের ভাষায়, জীবনের নিত্যনতুন ছন্দে রুপকথার গল্প বেঁচে থাকে।রূপকথার গল্প হলো অনেকটা আয়নার মতো, যেখানে আমাদের স্বপ্ন ও শৈশব প্রতিবিম্বিত হয় বারবার।রূপকথার গল্পে একটি জাতির ছবি পাওয়া যায়।বংশ পরম্পরায় এ গল্পের কথন চলতে থাকে।পুনবর্ননা যে কোন রুপকথার প্রধান বৈশিষ্ট্য।তবে রুপকথার গল্পের চরিত্রগুলো আামদের চেনাজানা চারপাশের প্রতীক চরিত্রের মতোই।রুপকথার গল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো আনন্দ দেবার ক্ষমতা।রূপকথার গল্প আমাদের জীবনেরই গল্প।
রুপকথা হলো মূলত রুপের কথা।যে রুপের মধ্যে থাকে অনেক মনগড়া কাহিনী, রসের কথা এবং কাল্পনিক ও ভৌতিক কিছু বিষয়।যেগুলো পাঠকের মনে একদিকে যেমন ভয়ের সঞ্চার করে তেমনি অন্যদিকে আনন্দ ও ভালোলাগার সঞ্চার করে।গল্পের মধ্যে থাকে নানান রুপক কথার প্রাসঙ্গকিতা।এই রুপ যেন গল্পকে নতুন মোড় দেওয়ার জন্য।রুপকথার প্রতিটা গল্প এমনভাবে সাজানো থাকে যে পাঠকের কাছে তা যেন অতি চমকপ্রদ হয়ে উঠে।তবে সব সময় যে তা পাঠকের কাছে তা অতি আনন্দের হবে এমনটা না।মাঝে মাঝে পাঠকের কাছে কোন কোন গল্পের কথা গুলো অতিমাত্রায় অবাস্তব এবং ভিত্তিহীন বলে মনে হয়ে থাকে।তবে রূপকথার গল্পগুলো অবাস্তব হলেও পাঠকের কাছে তা অন্তত অল্প সময়ের জন্য তাদের মনে কিছুটা হলেও আনন্দের সঞ্চার করে থাকে।অন্তত বই পড়ার আনন্দ পেতে হলে আমাদের রুপকথার বইগুলো পড়া দরকার।তাহলে আমরা কিছুটা সময়ের জন্য একটা নতুন জগতে হারিয়ে যেতে পারবো।তবে এই হারানো আক্ষরিক অর্থে হারানো না।এ হারানো বই পড়ার আনন্দের জগতে হারানো।